……

হাজির নাজিরের বিরুদ্ধে মাহমুদ মদনির আপত্তিকর অভিযোগ খন্ডন

♣♣♣চট্টগ্রামের আজিজুল হক্ব মদনির ছেলে মাহমুদ বিন মদনি নবীজির হাজির নাজিরের বিরুদ্ধে অাপত্তি উত্থাপন করে বলেছে যে নবীজি হাজির নাজির হলে পায়খানা প্রস্রাব করলে ত দেখবে,উলঙ্গ হলে ত দেখবে। এতে ত পর্দার বিধান লঙ্গন হয়,এতে ত নবীজির সম্মান কমে যাবে।আল্লাহর সামনে বান্দার পর্দা নেই তাই এতে অসুবিধা হবে না।কিন্তু বান্দার সামনে ত বান্দার পর্দা ফরজ।এতে ত সুন্নিরা নবীজির সম্মান কমিয়ে দিলো।

♥♥♥আমি ইনশায়াল্লাহ তার খোঁড়া যুক্তির উপযুক্ত জবাব দিবো

প্রথমেই আমি হাজির নাজিরের ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়। অনেকে হাজির নাজিরের সঠিক ব্যাখ্যা না জানার কারনে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে।
হাজির নাজির মানে হচ্ছে যিনি একই জায়গায় অবস্থান করে সমগ্র বিশ্বকে হাতের তালুর ন্যায় অবলোকন করেন। অপর আরেকটি ব্যাখ্যা হচ্ছে যিনি একই সময় বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করতে পারেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ক্ষেত্রে দুইটাই সম্ভব।

এবার তার যুক্তি গুলো খন্ডন করব।

♣♣♣মদনির ছেলের যুক্তি হলো বান্দার সামনে বান্দার পর্দা ফরজ। আমি বলব পশু পাখিও ত আল্লাহর বান্দা। এখন তুমি পায়খানা প্রস্রাব করার সময় যদি কোন পশু পাখি দেখে ফেলে তুমি কি তখন পর্দা করবে?
তুমিই ত বললে বান্দার সামনে বান্দার পর্দা ফরজ।তাই এখন থেকে পায়খানা করার সময় যদি পশু পাখি চলে আসে তাহলে পর্দা করবে।
আকাশ বাতাস এগুলোও আল্লাহর বান্দা এখন মদনির ছেলে কি করবি? তোর ত এখন প্যান্টের ভিতর পায়খানা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই কারন পায়খানা করার সময় বাতাস তোর সতর দেখবে।

♣♣♣মদনির ছেলে বলেছে আল্লাহর সামনে উলঙ্গ থাকলে অসুবিধা নেই কারন আল্লাহর সামনে বান্দার কোন পর্দা নেই।কতবড় আহমক হলে এই কথাটা বলতে পারে।আল্লাহর সামনে যদি বান্দার পর্দা ফরজ না হয় তাহলে নামাজের মধ্যে সতর ডাকা ফরজ কেন?অনেকে হয়ত আপত্তি করতে পারে যে নামাজে সতর না ডাকলে ত অন্যান্য লোকজন দেখতে পাবে তাদের বলব তাহলে একাকি নামাজ পড়ার ক্ষেত্রেও কেন সতর ডাকা ফরজ? আল্লাহর সামনে যেহেতু পর্দা নেই সেহেতু সতর ডাকার ত কোন প্রয়োজন নেই?
গোসল খানায় উলঙ্গ হয়ে কেন গোসল করা যায় না।এসবের জবাব কি হবে।আল্লাহর সামনে পর্দা ফরজ না হলে উলঙ্গ হয়ে গোসল করাতে ত কোন অসুবিধা নেই?
এবার কিছু হাদিস উল্লেখ করব যেগুলো দিয়ে প্রমান করব আল্লাহর সামনেও যেমন খুশি তেমন চলা যাবেনা। তার সামনেও পর্দা করতে হবে।

حدثنا بهز بن حكيم حدثني أبي عن جدي قال قلت : يا رسول الله عوراتنا ما نأتي منها وما نذر ؟ قال احفظ عورتك إلا من زوجتك أو مما ملكت يمينك فقال الرجل يكون مع الرجل ؟ قال إن استطعت أن لا يراها أحد فافعل قلت والرجل يكون خاليا قال فالله أحق أن يستحيا منه

, মুয়াবিয়া বিন হাইদা হতে বর্ণিত। একদা রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله و سلم) বলেছেন যে, তুমি তোমার বিবি ও তোমার দাসী (দাস প্রথার এ হকুম বিলুপ্ত, ইসলামে দাস প্রথা নিষিদ্ধ।) ছাড়া অপরের নিকট হতে তোমার লজ্জাস্থানকে সর্বদা রক্ষা কর (অর্থাৎ ঢেকে রাখবে)। আমি বললাম- “ইয়া রাসূলাল্লাহ! বলুন! যদি কোন ব্যক্তি নির্জনে একাকী থাকে! (তখনও কি তা ঢেকে রাখতে হবে? প্রয়োজন ছাড়া খোলা নিষিদ্ধ?) তিনি বললেন (হ্যাঁ) আল্লাহ তায়ালাকে অধিক লজ্জা করা উচিত।

[জামে তিরমিজী, হা/ ২৭৬৯]।
في صحيح البخاري (1/ 64)(باب من اغتسل عريانا وحده في الخلوة، ومن تستر فالتستر أفضل وقال بهز بن حكيم عن أبيه عن جده عن النبي صلى الله عليه وسلم: «الله أحق أن يستحيا منه من الناس»

হযরত বাহায (রহঃ) তাঁর পিতার সূত্রে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, নবী কারিম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, লজ্জা করার ব্যাপারে মানুষের চেয়ে আল্লাহ্‌ তা’আলাই হকদার।
وفي عمدة القاري شرح صحيح البخاري (3/ (338 باب من اغتسل عريانا وحده في الخلوة ومن تستر فالتستر أفضل أي: هذا باب في بيان جواز غسل العريان وحده إلا أن التستر أفضل، ،

[সহীহ বুখারী ১/৬৪, সুনানে আবু দাউদ, হা/ ৪০১৭, উমদাতুল ক্বারী ৩/৩৩৮, আল মাবসূত লিসসারখসী ৩০/২৬৫]।

মদনির ছেলে বলেছে আল্লাহর সামনে উলঙ্গ থাকলে কোন অসুবিধা নেই পক্ষান্তরে নবীজি বলেছেন আল্লাহকে অধিক লজ্জা কর।এখন বলুন নবীজির কথা মানব নাকি মদনির ছেলের কথা মানব।
মদনির ছেলে বলেছে আল্লাহর সামনে বান্দার পর্দা নেই।এখন আমি এমন একটি হাদিস উল্লেখ করব যেখানে আল্লাহর সামনে বান্দার পর্দা করতে বলা হয়ছে।

হযরত ইয়ালা ইবনু মুররা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (صلى الله عليه و آله و سلم) উন্মুক্ত স্থানে এক ব্যক্তিকে গোসল করতে দেখলেন। তিনি এই দৃশ্য দেখে মসজিদের মিম্বারে উঠে আল্লাহর প্রশংসা করলেন। অতঃপর বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ লজ্জাশীল ও পর্দাকারী। তিনি লজ্জা ও পর্দা করাকে ভালবাসেন। অতএব যখন তোমাদের কেউ গোসল করে, তখন সে যেন পর্দা করে’।

[সূত্রঃ আবুদাঊদ, মিশকাত হা/ ৪৪৭, হাদীছ ছহীহ]।
হে মগার ঘরের মগা তুমি ত বলো আল্লাহর সামনে বান্দার পর্দা নেই তাহলে নবীজি গোসল করার সময় পর্দা করতে বললেন কেন?
♣♣♣ বিভিন্ন তাফসীর গ্রন্থে حَتّي اِذَا جَاءَ اَحَدَكُمُ الْمَوْتُ تَوَفَّتْهُ رُسُلُنَا এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বর্ণিত হয়েছে যে, মালাকুল মউতের সামনে সম্পূর্ণ পৃথিবী একটি খাদ্যের থালার মতো। সেখান থেকে যাকে ইচ্ছা তিনি তুলে নিতে পারেন।

রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একবার প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! মৃত্যুর ফিরিশতা তো একজন। অথচ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে একই সঙ্গে অনেক লোক মৃত্যুবরণ করছে (একই সঙ্গে সকলের প্রাণ তিনি হরণ করেন কী করে?)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, মৃত্যুর ফিরিশতার সামনে সমস্ত পৃথিবী একটি খাদ্যের থালার ন্যায়। তাই কেহই তার দৃষ্টির আড়াল নয়।

এখন পুরো পৃথিবী যদি তার সামনে খাদ্যের তালার মত হয়ে যায় তাহলে ত তুমি কি করতেছ সব আজরাইল আ. দেখে।তুমি যদি পায়খানা প্রস্রাব কর এগুলোও ত ফেরেশতা আজরাইল আ. দেখবে। এখন বলো পর্দার বিধান কি লঙ্গন হচ্ছে এখন কি বলবেন আজরাইল আ. এর লজ্জা শরম নেই (আল ইয়াজ বিল্লাহ)
আজরাইল আ. ও ত আল্লাহর বান্দা।এখন বান্দার সামনে বান্দার পর্দা ফরজ এই হুকুমটা পালন করলে কই?
একটি হাদিসে আছে মালাকুল মওত দিনে দুই বার প্রতিটা মানুষের সাথে দেখা করে।কোন কোন রেওয়ায়েতে পাচঁ বার, কোন কোন রেওয়ায়েতে ৭০ বারের কথা উল্লেখ আছে।
এখন পশ্চিমাদেশের লোকেরা অধিকাংশ সময় উলঙ্গ থাকে।এটাকে তারা সভ্য কালচার মনে করে।অনেকে উলঙ্গ না থাকলেও শর্ট কাপড় পরিধান করে এখন হাদিসের ইবারত অনুযায়ি মালাকুল মওত তার সাথেও দেখা করে।এখন মালাকুল মওতের কি সম্মান কমে গেল? এখন কি বলবেন তার লজ্জা শরম নেই(আল ইয়াজ বিল্লাহ)
আমরা অনেকে জানি অনেকে টয়লেটে মৃত্যুবরন করে এখন টয়লেট থেকে যে আজরাইল আ. রুহ কবজ করতেছে আজরাইল আ. এর কি সম্মান কমে গেল?

♣♣♣এবার উল্লেখ করব কিরামান কাতেবিনের বিষয়টা।
كِرَامًا كَاتِبِينَ
(৮২-ইনফিতার:১১.) এমন সম্মানিত লেখকবৃন্দ
يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ
(৮২-ইনফিতার:১২.) যারা তোমাদের প্রত্যেকটি কাজ জানে।
এখন আমরা পায়খানা প্রস্রাব করলে তারা জানে। তখন কি পর্দার বিধান লঙ্গন হয়না?
عَنْ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِيَّاكُمْ وَالتَّعَرِّيَ فَإِنَّ مَعَكُمْ مَنْ لَا يُفَارِقُكُمْ إِلَّا عِنْدَ الغَائِطِ وَحِينَ يُفْضِي الرَّجُلُ إِلَى أَهْلِهِ، فَاسْتَحْيُوهُمْ وَأَكْرِمُوهُمْ»

ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা নগ্নতা হতে বেঁচে থাক। কেননা তোমাদের এমন সঙ্গী আছেন (কিরামান-কাতিবীন) যারা পেশাব-পায়খানা ও স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের সময় ছাড়া অন্য কোন সময় তোমাদের হতে আলাদা হন না। সুতরাং তাদের লজ্জা কর এবং সম্মান কর।

[সুনানে তিরমিজী, হা/ ২৮০০]।

শুধু দুই সময় ছাড়া অন্য কোন সময় কিরামান কাতেবিন ফেরেশতা পৃথক হয়না।ঐ দুই সময় পৃথক হলেও তারা বান্দার কাজ সম্পর্কে অবগত আছে কারন কোরান মাজিদে সরাসরি সেটা বলে দিয়েছে।এখন অন্য কোন সময় যদি কেউ উলঙ্গ হয় তাহলে কি কিরামান কাতেবিন ফেরেশতা কি সেটা দেখে না?
তখন কি পর্দার বিধান লঙ্গন হয়না।

পশ্চিমা দেশের লোকেরা ত অনেক সময় উলঙ্গ থাকে তাহলে তাদের সাথেও ত ফেরেশতারা আছে।তাহলে কি তাদের সম্মান কমে গেল।
এসব চিন্তা করতে গেলে আজিজুল হক্ব মদনির ছেলে প্যান্টের ভিতর পায়খানা প্রস্রাব করা ছাড়া উপায় নেই কারন সতর ডাকা ফরজ।

মদনির ছেলের রুচি কতটা নিম্ন মানের হলে নবিজির শ্বানে এ ধরনের শয়তানি যুক্তিমূলক কথা বলতে পারে।
নবিজি হাজির নাজির হলেই আমার আপনার পায়খানা প্রস্রাব দেখতে হবে কেন?

যেই নবিজি দ: উপস্হিত হওয়া এবং দেখার ক্ষমতা রাখেন, তিনি উম্মতের ঐ বিশেষ অবস্হায় দৃষ্টি ফেরানোর ক্ষমতা রাখেন না?

আমার চোখ আছে আমি দেখতে পারি তাই বলে কি আমার কোন দিক হতে কি চোখ ফেরানোর ক্ষমতা নেই।চোখ আছে বলে কি সব দেখতে হবে।পাগল ব্যতীত কেউ এরকম উদ্ভট যুক্তি প্রদর্শন করেনা।

♣♣♣এবার মদনির মুরুব্বিদের তার কথা দ্বারা সাইজ করবো।
রশীদ আহমদ সাহেব গাঙ্গুহী লিখেছেনঃ-

ﻣﺮﯾﺪ ﮐﻮ ﯾﻘﯿﻦ ﮐﮯ ﺳﺎﺗﮫ ﺟﺎﻧﻨﺎ ﭼﺎﮨﯿﺌﮯ ﮐﮧ ﺷﯿﺦ ﮐﯽ ﺭﻭﺡ ﺍﯾﮏ ﺟﮕﮧ ﻣﻘﯿّﺪ ﻭ ﻣﺤﺪﻭﺩ ﻧﮩﯿﮟ ﮨﮯ ﻣﺮﯾﺪ ﺟﮩﺎﮞ ﮐﮩﯿﮟ ﺑﮭﯽ ﮨﻮ ﺷﯿﺦ ﮐﮯ ﺟﺴﻢ ﺳﮯ ﺩﻭﺭ ﮨﮯ ﺷﯿﺦ ﮐﯽ ﺭﻭﺡ ﺳﮯ ﺩﻭﺭ ﻧﮩﯿﮟ ﮨﮯ۔۔۔۔
অনুবাদ:-মুরীদের এও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে হবে যে পীরের রূহ মোবারক এক জায়গায় আবদ্ধ নয়। মুরীদ দূরে বা নিকটে যেখানে হোক না কেন,এমনকি পীরের পবিত্র শরীর মোবারক থেকে দূরে হলেও পীরের রূহানিয়ত কিন্তু দূরে নয়।(এমদাদুস সুলুক পৃষ্টা:৬৭)
এখন মদনির ছেলে কি বলবে?তার মুরুব্বি বলতেছে পীরের রুহ সব সময় মুরিদের সাথে থাকে তাহলে পায়খানা প্রস্রাব করলে ত মুরিদের নগ্ন দেহ তার পীর দেখবে।এখন দেওবন্দীরা কি জবাব দেবে?তাদের মুরুব্বিদের এই কথার উপর কোন আপত্তি আসেনা?
আমাদের উপর আপত্তি করার আগে সে তার মুরুব্বিদের উপর কেন আপত্তি করল না।তার উচিত ছিলো তার মুরুব্বিদের উপর আপত্তি করা

২)আমীরুল ওহাবি সাইদ আহমদ এজিদির মালফুজ সিরাতে মুস্তাকীম যা লিপিবদ্ধ করেন,মি:ঈসমাইল দেহলোভি,সেটার হিদায়েত ইশকের বর্ণনায় আগুন ও কয়লার দৃষ্টান্ত দিয়ে লেখেন-

اس طرح جب اس طالب کے نفس کامل کور حمانی کشش اور جزب کی موجیں اور احدتث کے دریاوں کی گہری تہ میہ کیھنچ لےجاتی ہیں تو انا الحق اور لیس فی جنبی سوی اللہ کا آوازہ اس سے صادر ہونے لگتاہے اور یہ حدیث قدسی کنت سمعہ الذی یسمع بہ وبصرہ الذی یبصربہ ویدہ التی یبطشر-

অনুবাদ:-যখন খোদা অন্বেষী সাধকের পূর্ণতাপ্রাপ্ত আত্মাসত্ত্বাকে রহমানী আকর্ষণ ও ভাবাবেশের তরঙ্গমালা আহাদিয়াত এর সমুদ্র সমূহের গভীরে টেনে নিয়ে যায় তখন আনাল হক ও আমার জুবানে আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু নেই প্রভৃতি বাক্য সে সাধকের মুখ থেকে নির্গত হতে থাকে। সাধকের এ অবস্থার কথাই বর্ণিত হয়েছে হাদীছে কুদসীতে যেখানে বলা হয়েছে-

ﻛُﻨْﺖُ ﺳَﻤْﻌَﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻯْ ﻳَﺴْﻤَﻊُ ﺑِﻪ ﻭَﺑَﺼَﺮَﻩُ ﺍﻟَّﺬِﻯْ ﻳَﺒْﺼُﺮُ ﺑِﻪ

আমি সে প্রিয় বান্দার কান হয়ে যাই, যদ্দারা তিনি শুনেন, তার চোখ হয়ে যাই, যদ্দারা তিনি দেখেন।[সিরাতে মুস্তাকিম, পৃষ্টা নং- ২৫,পৃষ্টা নিচে দেওয়া হল]

মন্তব্যঃ- এ ইবারতে একথা স্পষ্টই স্বীকৃত হয়েছে যে, মানুষ যখনিই ফানাফিল্লাহ এর স্তরে উপনীত হয় তখন সে খোদার শক্তিতেই দেখে, শুনে, ধরে ও কথা বলে। অর্থাৎ জগতের প্রত্যেক কিছুই দেখে, দূরের ও নিকটের যাবতীয় কিছু স্পর্শ করে।

এখন দেওবন্দীদের মুরুব্বি সৈয়দ আহমক বেরলবি ও ইসমাইল দেহলবির সম্পর্কে কি বলবে।তারা বলতেছে বান্দা ফানা ফিল্লাহর স্তরে পৌছলে সে সব কিছু দেখে তাহলে পায়খানা প্রস্রাব করলেও ত দেখবে।তখন কি এগুলোর উপর আপত্তি আসেনা। যত আপত্তি আসে শুধু নবীজির উপর।
আল্লাহ সবাইকে বোঝার তওফিক দান করুক।ওমা আলাইনা ইল্লাল বালাগ

Leave a comment

Design a site like this with WordPress.com
Get started